স্টাফ রিপোর্টার : শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩০তম
আবির্ভাব-তিথি ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্থান
মহোৎসব উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে
পাবনার হিমাইতপুর অনুকূলচন্দ্র আশ্রমে শুরু
হচ্ছে তিনদিনের উৎসব। মঙ্গল, বুধ ও
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মহোৎসব চলবে। এ
উপলক্ষ্যে হিমাইতপুর আশ্রমে নেয়া
হয়েছে নানা আয়োজন।
হিমাইতপুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সহ-প্রতিঋত্বিক শ্রী
যুগলকিশোর ঘোষ বলেন, ঠাকুরের
আবির্ভাব মহোৎসবকে ঘিরে সকল
প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঠাকুরের
ভক্তরা ইতোমধ্যে আসতে শুরু
করেছে।
তিনি বলেন, গতবারে ৫০/৬০ হাজার ভক্ত
অনুরাগীর আগমন হয়েছিল। কিন্তু এবারে
বন্যা ও ঈদ উল আযহার কারনে ভক্ত
অনুরাগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে
আসবে বলে আশংকা করছি।
তিনদিনের এই মহোৎসবে প্রধান অতিথি
হিসেবে উদ্বোধন করবেন যথাক্রমে
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. নুর-উল
রহমান, পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী
বালো, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ও
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার।
আইন শৃংখলা, নিরাপত্তার বিষয়ে পাবনার পুলিশ
সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন, মহোৎসব
স্থল ও আশপাশে জিরো টলারেন্স
ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ, সাদা
পোশাকের পুলিশ, র্যাবসহ সরকারি
গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে আইন শৃংখলা রক্ষা
ও নিরাপত্তার দায়িত্বে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন,
পুলিশ মনিটরিং বক্স স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও মহোৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশে
থাকবে মেটার ডিরেক্টার যন্ত্র। এসপি কবির
বলেন, যে কোন ধরণের নাশকতা
প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মিরা সচেষ্ট
রয়েছে।
মহোৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড.
নরেশ মধু বলেন, ঠাকুরের ভক্ত
অনুসারীরা নির্ভিঘ্নে সকল কর্মকাণ্ডে
অংশগ্রহণ করবেন এমন প্রস্তুতি গ্রহণ করা
হয়েছে। আশা করছি কোন ধরণের
অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। তিনি আইনশৃংখলা,
নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের
নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ
করেছেন। তিনি আশাবাদী তিনদিনের
ঠাকুরের উৎসব ভালোভাবেই সম্পন্ন
হবে।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের https://esaharanews.com, https://web.facebook.com/sharer.php?t=, https://twitter.com, এবং https://www.linkedin.com পেজ)