ঈসাহারা নিউজ ডেস্ক : তত্ত্ব মতে, গণপতির অবয়ব থেকে এক
অসামান্য জীবন দর্শন উঠে আসে।
সেদিক থেকে দেখলে, গণপতির রূপটি
প্রতীকী।
সনাতন ধর্মে দেব-দেবীর মূর্তির
পিছনে কোনও না কোনও তত্ত্ব বিদ্যমান
থাকেই। পৌত্তিলক হিন্দু ধর্মে তাই প্রতিটি
মূর্তিই ‘ধ্যানমূর্তি’। দেবা কালিকা, দুর্গা,
সরস্বতীর মতোই দেবতা গণেশের
বক্রতূণ্ড মহাকায়ও এক বিশেষ ‘কোড’।
এই রহস্য সম্পর্কে অনেক পুরাণই সরব।
তত্ত্ব মতে, গণপতির অবয়ব থেকে এক
অসামান্য জীবন দর্শন উঠে আসে।
সেদিক থেকে দেখলে, গণপতির রূপটি
প্রতীকী। জেনে নেওয়া যাক এই
প্রতীকের রহস্য।
• গণেশের বিশালাকৃতির কান এই বার্তা দেয়
যে, মন দিয়ে শোনার কাজটি অধিক
গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, গণপতি স্বয়ং
এক অতি নিষ্ঠ শ্রোতা। বেদব্যাসের
মুখনিঃসৃত বাণী এক বার শুনেই তিনি ‘মহাভারত’
লিখেছিলেন।
• গণেশের মুখ ছোট। কথা কম বলাই যে
বিধেয়, সেই বার্তাই বহন করে এই
প্রতীক।
• গণেশের বিশাল উদর হল গোপনীয়তার
প্রতীক। তিনি জ্ঞানী। তাই তাঁর উদর বৃহৎ।
কিন্তু তা কখনওই প্রকাশ্য নয়। তিন যেন
জ্ঞানকে উদরে স্থান দিয়েছেন।
• তাঁর বাঁকা শুঁড় জীবনে নমনীয়তার
প্রতীক। জীবনকে গণপতির শুঁড়ের
মতো নমনীয় করতে পারলে সাফল্য
অনিবার্য।
• গণেশের হাতে ধরা থাকে একটি পদ্মফুল।
এটি সুখের প্রতীক। সাংসারিক ঝড়ঝাপটা
উপেক্ষা করে সহস্রদল যেভাবে বিকশিত
হয়, তেমন করেই নিজেকে বিকাশ করার
প্রতীক।