আগামীকাল ৩০/০৩/২০২২ খ্রিঃ তারিখে পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব উপলক্ষে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক ছিলেন। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর[১] ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই মার্চ অবিভক্ত বাংলার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার অন্তর্গত ওড়াকাঁন্দির পার্শ্ববর্তী সাফলাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার মাতা-পিতার নাম অন্নপূর্ণা বৈরাগী ও যশোমন্ত বৈরাগী। তার প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা সেভাবে হয়নি, কিন্তু প্রেম-ভক্তির কথা সহজ-সরলভাবে প্রচার করতেন। বৈষ্ণব বাড়িতে জন্ম হওয়ার কারণে শাস্ত্র আলোচনার মাধ্যমে হিন্দু ও বৌদ্ধ শাস্ত্রের সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন, বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করার সুযোগে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন তিনি।[২] তার প্রচলিত সাধন পদ্ধতিকে বলা হতো মতুয়াবাদ। তার দুই ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুর ও উমাচরণ। গুরুচাঁদ ঠাকুরের পিতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর মতুয়া ধর্মের উন্নতিসাধন, শিক্ষার প্রসারে ব্রতী হয়েছিলেন। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী নিয়ে কবি রসরাজ তারক চন্দ্র সরকার শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত নামক গ্রন্থটি রচনা করেন।[৩] শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর কলি যুগের শ্রীবিষ্ণু’র একজন বিশেষ অবতার যা তার অনুসারিরা(ভক্তরা) সকলে বিশ্বাস করেন এবং তাকে বলা হয় পতিতপাবন। তাঁর ভক্তরা তাঁকে শ্রীচৈতন্যদেব এবং গৌতম বুদ্ধের যৌথ অবতার বলে মনে করতো।
হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা:
১/ সদা সত্য কথা বলবে।
২/ পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।
৩/ নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে।
৪/ জগৎকে ভালোবাসবে।
৫/ সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে।
৬/ জাতিভেদ করবে না।
৭/ হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে।
৮/ প্রত্যহ প্রার্থনা করবে।
৯/ ঈশ্বরে আত্মদান করবে।
১০/ বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না।
১১/ ষড়রিপু বশে রাখবে। এবং
১২/ হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।