শালিখা(মাগুরা) প্রতিনিধি: সিন্ডিকেট ভেঙে ভোজ্য তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে মাগুরায় গনকমিটি মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৯ মে) সকাল ১১ টায় মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে
সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য রাখেন গণকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ। উপস্থিত ছিলেন গণকমিটি মাগুরা জেলার অন্যতম সদস্য সামছুন নাহার জোছনা ও বাসারুল হায়দার বাচ্চু।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৪৪ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮০ টাকা। রোজার আগে বলা হয়েছিল রোজায় জিনিসের দাম বাড়বে না। সে কথা রাখেনি কেউ। সরকারের পক্ষ থেকে রোজার আগে ভোজ্য তেল আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে দুই দফা মূল্য সংযোজন কর কমানো হয়েছিল, বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়েনি কিন্তু সরকার হারিয়েছে রাজস্ব। গত ২০ মার্চ সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে। সে সময় খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা কমিয়ে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর তেলের দামের এই দীর্ঘ লাফ। দেশের ভোজ্য তেলের বাজারে একসঙ্গে এত বেশি মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। এতো মূল্য বৃদ্ধির পরও বাজারে সয়াবিন তেল নেই। এখন গুদাম থেকে মজুদ সয়াবিন তেল বের হচ্ছে। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় দেশের ৫ থেকে ৭ জন তেল ব্যবসায়ীর কাছে কিভাবে দেশের ৪ কোটি পরিবার জিম্মি। আর এইভাবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণের কাছ থেকে প্রতি দিন শত শত কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছে। এছাড়াও অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে ভোজ্য তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, মজুতদার ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করতে হবে।