ঈশ্বর হলেন তিনি,যিনি তোমার চারপাশে পরিব্যপ্ত,যাঁর আদেশে চন্দ্র-সূর্য ওঠে,যাঁর হাত পা নেই অথচ চলাফেরা করেন,কান না থাকলেও যিনি জগতের সবকিছু শোনেন,চোখ না থাকলেও যিনি সব দেখতে পান,জ্ঞান-বুদ্ধির দ্বারা যাঁকে বোঝা যায় না,যিনি মায়াতীত।ভাষায় যার স্বরূপ প্রকাশ করা যায় না,সেই নিরাকারের নাম ঈশ্বর।
যিনি সর্বব্যাপী আকাশের মত,যিনি নিত্য-চৈতন্য-স্বরূপ
,তিনিই ঈশ্বর।
ঈশ্বর সর্বভূতে বিরাজমান।জলে,স্থলে,অনলে,অনিলে সর্বত্রই তিনি আছেন,যদি ডাকার মতো ডাকতে পারো,
তিনি সাড়া দেবেন।তোমার সামনে এসে দেখা দেবেন।
সৎ চিন্তা করবে,সৎ সঙ্গ করবে,সৎ ভাব পোষণ করবে
,সদাচারী হবে,তাতে শ্রদ্ধা আসবে মনে।শ্রদ্ধা এলেই নিষ্ঠা আসবে,আর শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠা থেকে ভক্তির উদয় হয়
ভক্তি যখন চরম অবস্থায় পৌছায়,তখন হৃদয়ে জাগে প্রেম ভাব।প্রেম ভাব এলেই আসে ত্যাগ-বৈরাগ্য-সমদর্শন।সঙ্গে সঙ্গে মুক্তির পথ খুলে যায়
স্যাকরারা যেমন সোনাকে পুড়িয়ে খাদবিহীন করে,সেই রকম ভক্তির আগুনে কামনা বাসনাকে পুড়িয়ে বিশুদ্ধ হতে হয়।
এই আত্মাকে আমি বলে জানবে।এ ছাড়া আমি বলে কিছুই নেই।আমিই তিনি,তিনিই আমি।আমি কিছু নয়,
আমার বলতে কিছু নেই,সবই তিনি।সবই তাঁর।
আমার আমার কথাটা ত্যাগ কর,ওটা হলো ভ্রান্তি।এ থেকেই আসে সংসার বন্ধন।আমি বলতে আত্মা।সবই আমি,সকলই আমি,সকলই ব্রহ্ম।এই জ্ঞান হলেই মুক্তি পাবে।
সর্বভূতে ভগবান দর্শন করবে।ভগবানকে সর্বভূতে দর্শন করবে।এটাই সাধনার চরম লক্ষ্য।সর্বজীবের হিতসাধনাই সনাতন ধর্মের প্রধান সাধনা।
—-স্বামী ত্রৈলঙ্গ জী
(জীবনী ও অমৃতময় উপদেশ)