ঈসাহারা নিউজ ডেস্ক : রামায়ণের একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হল
কুম্ভকর্ণ। কারণ তিনি বছরে ছ’মাস ঘুমিয়ে
থাকেন। এমনকি বাস্তব জীবনে কেউ ঘুম
কাতুরে হলে, তাকে কুম্ভকর্ণ বলে
মস্করাও করা হয়। কিন্তু অনেকেই হয়ত
জানেন না যে কেন কুম্ভকর্ণ এইভাবে
ছ’মাস ঘুমিয়ে থাকতেন। এর পিছনে
রয়েছে একটি বিশেষ গল্প। এক
অভিশাপের শিকার হয়েই তাঁর এই অবস্থা
হয়েছিল বলে জানা যায়।
রাবণের এক ভাই ছিলেন এই কুম্ভকর্ণ। একথা
শোনা যায় যে তিনি খুবই বুদ্ধিমত্তার
অধিকারী ছিলেন ও খুব বড় মনের মানুষ
ছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনোভাবেই সহ্য
করতে পারতেন না ভগবান ইন্দ্র। তাঁর স্বভাব-
চরিত্র ও গুনের জন্য রীতিমত
কুম্ভকর্ণকে হিংসা করতেন তিনি। অনেক দিন
ধরেই তিনি চেয়েছিলেন প্রতিশোধ
নিতে। কিভাবে কুম্ভকর্ণকে অপদস্থ করা
যায়, সেই উপায় খুঁজছিলেন তিনি।
একদিন ভগবান ব্রহ্মাকে তুষ্ট করার জন্য
যজ্ঞ করছিলেন রাবণ ও তাঁর দুই ভাই
কুম্ভকর্ণ ও বিভীষণ। তাঁদের প্রার্থনায় তুষ্ট
হয়ে আবির্ভূত হন ব্রহ্মা। তিনি তিন ভাইয়ের
কাছে জানতে চান যে তাঁর কি বর চান। রাবণ
এবং বিভীষণ দু’জনেই ব্রহ্মার কাছে
‘ইন্দ্রাসন’ চান। কিন্তু কুম্ভকর্ণকে জিজ্ঞাসা
করতেই তিনি একটা ছোট ভুল করে
ফেলেন। ভুল করে বলে ফেলেন
‘নিদ্রাসন’। আর ‘নিদ্রাসন’-এর অর্থ হল শয্যায়
শুয়ে নিদ্রা। সঙ্গেই সঙ্গেই নিজের ভুল
শুধরে নেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে দেরি
হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে বর দিয়েই
ফেলেছেন ব্রহ্মা। সুতরাং আর গতি কি!
তবে বিশ্বাস করা হয় যে এই পুরো ঘটনার
কারসাজি ছিল ইন্দ্রের। দেবী
সরস্বতীকে নাকি ইন্দ্র অনুরোধ
করেছিলেন কুম্ভকর্ণের মনটাকে
এভাবে ঘুরিয়ে দিতে যাতে তিনি ভুল বলে
ফেলেন। আর সেটাই হয়েছিল। তাই সেই
বর অনুযায়ী, বাড়িতে ছ’মাস ঘুমিয়ে থাকেন
কুম্ভকর্ণ।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের https://esaharanews.com, https://web.facebook.com/sharer.php?t=, https://twitter.com, এবং https://www.linkedin.com পেজ)