বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা ইলিয়াস কাঞ্চন চলচ্চিত্রে এসেছিলেন কিংবদন্তী পরিচালক সুভাষ দত্তের হাত ধরে।১৯৭৭ সালে ববিতার সাথে ‘বসুন্ধরা’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়।ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ডুমুরের ফুল’ এটিও সুভাষ দত্তের পরিচালনায়।এভাবে,১৯৭৮ এবং ১৯৭৯ সালে ‘সুন্দরী’ ‘সিকান্দার’ সিনেমায় অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।ভালো অভিনয় করলেও এসবের কোন সিনেমায় ইলিয়াস কাঞ্চন ক্রেডিট নিতে পারেন নি।
১৯৮০ সালে শাবানার সাথে ‘শেষ উত্তর’ সিনেমাটিও ব্যবসায়সফল হয়নি।এভাবে,পুরো আশির দশকের শুরুর ভাগও ইলিয়াস কাঞ্চনকে সংগ্রাম করতে হয়েছে জনপ্রিয়তা পেতে।আশির দশকের মধ্য ভাগে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘আঁখি মিলন’ সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হয়।ইলিয়াস কাঞ্চনের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায় ‘আঁখি মিলন’ সিনেমাকে।এই সিনেমার পর থেকে ইলিয়াস কাঞ্চনের আর পেঁছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।আশির দশকের শেষ প্রান্তে তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন হয়ে আছেন বাংলাদেশের বিগেস্ট সুপারস্টার।এভাবে তিনি নব্বই এবং শূন্য দশকেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্লকবাস্টার এবং সুপারহিট সিনেমা।
ক্যারিয়ারে ইলিয়াস কাঞ্চন জুটি বেঁধে সফল হয়েছেন বেশ কয়েকজন নায়িকার সাথেও।ইলিয়াস কাঞ্চন-দিতির ‘চরম আঘাত’,ইলিয়াস কাঞ্চন-চম্পার ‘ভেঁজা চোখ এবং ইলিয়াস কাঞ্চন-অঞ্জুর ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আজ বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ ব্যবসায়সফল সিনেমার এই নায়কের জন্মদিন,শুভ জন্মদিন ইলিয়াস কাঞ্চন।
#ইলিয়াস_কাঞ্চন #জন্মদিন #সিনেকাহন।
কপি পেস্ট