ঢাকাশনিবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জোচ্চুরি করে প্রধানশিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি! অভিযুক্তের বাবাকে শুক্রবার তলব সিআইডির

ESAHARA NEWS অনলাইন নিউজ পোটাল
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
পঠিত: 51 বার
Link Copied!

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাবা প্রধানশিক্ষক। সেই স্কুলে শিক্ষকের চাকরির জন্য জোচ্চুরি করেছেন ছেলে। এমনকি, বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন। মুর্শিদাবাদের সুতির ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে এ বার ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রধানশিক্ষক বাবাকে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করল সিআইডি। ১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার তাঁকে কলকাতার ভবানী ভবনে হাজির হতে হবে। এই মামলায় অভিযুক্ত সুতির গোথা এ রহমান হাই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি পলাতক বলে সিআইডি সূত্রের দাবি। অনিমেষের বাবা তথা ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে শুক্রবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আশিস। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এই মামলার তদন্তে মুর্শিদাবাদ জেলার স্কুল পরিদর্শক অফিসের কর্মীদেরও ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হাই কোর্টে মামলা করেছেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে বাবার স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ। এবং সেই নিয়োগের সুপারিশপত্র দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। অভিযুক্ত অনিমেষের নিয়োগ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ওই নামে কোনও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। সোমার অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। এই মামলায় ১৯ জানুয়ারি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ইতিমধ্যেই অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি, তিনি স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিআইডি সূত্রের দাবি, যে বছর অনিমেষকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, আদপে সে বছর কোনও শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া না হলেও জেলা শিক্ষা দফতর অভিযুক্তের নিয়োগপত্র কেন গ্রহণ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুত্র— আনন্দবাজার পত্রিকা।

%d bloggers like this: