ঢাকাশনিবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:৫৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে যার ভজনাই করুক না কেন, সবারই সেই একই গতি হবে। কোনও পার্থক্য নেই। এর জবাব কি

ESAHARA NEWS অনলাইন নিউজ পোটাল
মার্চ ১৯, ২০২৩ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
পঠিত: 14 বার
Link Copied!

যে যার ভজনাই করুক না কেন, সবারই সেই একই গতি হবে। কোনও পার্থক্য নেই। এর জবাব কি ?

উত্তরঃ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় (৯/২৫) বলেছেন—
যান্তি দেবব্রতা দেবান্ পিতৃন যান্তি পিতৃব্রতাঃ।
ভূতানি যান্তি ভূতেজ্যা যান্তি মদ্যাজিনোহপি মাম্॥
“দেবতাদের যারা উপাসক তারা দেবলোক প্রাপ্ত হবে। পিতৃপুরুষদের যারা উপাসক, তারা পিতৃলোক লাভ করবে। ভূত-প্রেতের যারা উপাসক, তারা ভূতলোক লাভ করবে। আমার যারা উপাসক তারা আমাকেই লাভ করে।”
দেবলোক, ভূতলোক, বৈকুণ্ঠধাম কখনই এক নয়। অতএব যার ভজনা কর না কেন একই গতি—এটি পাগল বা মাতালদের উদ্ভট কথা।

প্রশ্নঃ মনুষ্য ভগবানের জন্য যদি রান্না না করে, নিজেদের খাবার জন্য রান্না করে, তবে নরক যাতনা পাবে। আর যদি ভগবানকে ভোগ নিবেদন করে খায় তবে বৈকুণ্ঠ লাভের সুযোগ পাবে। এরকম কথা কোন্ শাস্ত্রে আছে?

উত্তরঃ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় (৩/১৪) কর্মযোগ অধ্যায়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলছেন—
যজ্ঞশিষ্টাশিনঃ সন্তো মুচ্যন্তে সর্বকিল্বিষৈঃ।
ভুঞ্জতে তে ত্বঘং পাপা যে পচ্যন্ত্যাত্মকারণাৎ॥
“ভক্তরা ভগবৎপ্রসাদ ভোজী হওয়ার কারণে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়। কিন্তু যারা কেবল নিজ ইন্দ্রিয় তৃপ্তির জন্যে রান্না করে, তারা কেবল পাপই ভোজন করে।”
আবার জ্ঞানযোগেও বলছেন—
যজ্ঞাশিষ্টামৃত ভুজো যান্তি ব্ৰহ্ম সনাতনম্।
“ভগবৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত অবশেষ অমৃত ভোজন করে ভক্তরা সনাতন পরম ধাম লাভ করে।” (গীতা, ৪/৩০

%d bloggers like this: